অতিরিক্ত ঠান্ডার জেরে : বোরো বীজতলায় ধান চারা নষ্ট , সমস‍্যায় চাষীরা

21st December 2020 10:00 am বর্ধমান
অতিরিক্ত ঠান্ডার জেরে : বোরো বীজতলায় ধান চারা নষ্ট , সমস‍্যায় চাষীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : অতিরিক্ত ঠান্ডার জের । এবার সমস‍্যার মুখে বোরো ধান চাষীরা । ধান বীজতলায় বীজের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষীদের । ইতিমধ‍্যেই বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন রাজ‍্যের শস‍্যগোলার বিভিন্ন ব্লকের চাষীরা । তার প্রাথমিক কাজ হিসাবে বীজ তলায় ছড়ানো হয়েছে ধান বীজ । নির্দিষ্ট সময়ের মধ‍্যেই ধান গাছের চারা ও বের হয়েছে । কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই যেভাবে ঠান্ডা ও কুয়াশার প্রকোপ বেড়েছে তাতে ধান চারা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যেমন সমস‍্যা তৈরী হয়েছে , তেমনি অধিক ঠান্ডার কারনে বীজতলার ধান চারা হলুদ হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে । বীজতলা থেকে ধান চারা তুলে তা জমিতে বপণ করতে যে সময়ের ব‍্যবধান প্রয়োজন তার আগেই অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে ধান বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সমস‍্যার মুখে চাষীরা । ধান চারা বৃদ্ধি না পাওয়ার ফলে রোয়ার দিন ও পিছিয়ে যাবে বলছেন চাষীরা । ঠান্ডার প্রকোপে বীজতলা নিয়ে সমস‍্যায় পড়েছেন বোরো ধান চাষীরা । নতুন করে ধান বীজ ফেলে চারা তৈরী করতে গেলে আরো সময়ের প্রয়োজন । তাছাড়া ঠান্ডা র প্রকোপ যথেষ্ট রয়েছে । পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর , রায়না , মেমারী , হাটগোবিন্দপুর , কুড়মুন , ভাতার ,গলসী , আউশগ্ৰাম সহ সমস্ত এলাকাতেই বীজতলা নিয়ে বেশ কিছুটা চিন্তিত চাষীরা । 

ছবি : জ‍্যোতির্ময় ব‍্যানার্জী





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।